Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

বুড়িপোতা ইউনিয়নের ইতিহাস

বুড়িপোতা ইউনিয়নের ইতিহাস

সবুজ, শ্যামল নদী মাতৃক এদেশ বাংলাদেশ এদেশের দক্ষিণ পশ্চিমাংশে অবস্থিত বাংলাদেশের প্রথম রাজধানী, ঐতিহাসিক মুজিবনগরের ঐতিহ্য ও স্মৃতি বিজড়িত দেশের ৬৪টি জেলার ক্ষুদ্রতম জেলা এই মেহেরপুর। মেহেরপুর জেলার ৩টি উপজেলার মধ্যে মেহেরপুর সদর উপজেলার  অধীনে ৫ টিইউনিয়ন পরিষদের অন্যতম একটি    ২নং বুড়িপোতা ইউনিয়ন পরিষদ। বুড়িপোতা ইউনিয়ন পরিষদ কোন সালে স্থাপিত হয় তার সঠিক ইতিহাস পাওয়া যায় নি। তবে  অনুমান করা হচ্ছে  ১৯৪২ সালের কোন এক    সময় এই উনিয়ন পরিষদ স্থাপিত হয়। বর্তমানে ইউনিয়ন এলাকার ১টিগ্রাম রয়েছে বুড়িপোতা এবং বুড়িপোতা নামের সাথে সঙ্গতি রেখেই এর নাম  করন করা হয়েছে অনুমান করা হয়। তবে বুড়িপোতা নামের উৎস বা ইতিহাস কারও জানা নেই।এদেশ বাংলাদেশ এদেশের দক্ষিণ পশ্চিমাংশে অবস্থিত বাংলাদেশের প্রথম রাজধানী, ঐতিহাসিক মুজিবনগরের ঐতিহ্য ও স্মৃতি বিজড়িত দেশের ৬৪টিজেলার ক্ষুদ্রতম জেলা এই মেহেরপুর। মেহেরপুর জেলার ৩টি উপজেলার মধ্যে মেহেরপুর সদর উপজেলার অধীনে ৫টি ইউনিয়ন পরিষদের অন্যতম একটি ২নং বুড়িপোতা ইউনিয়ন পরিষদ। বুড়িপোতা ইউনিয়ন পরিষদ কোন সালে স্থাপিত হয় তার সঠিক ইতিহাস পাওয়া যায় নি। তবে অনুমান করা হচ্ছে ১৯৪২ সালের কোন এক সময় এ ইউনিয়ন পরিষদ স্থাপিত হয়। বর্তমানে ইউনিয়ন এলাকার ১টি গ্রাম রয়েছে বুড়িপোতা এবং বুড়িপোতা নামের সাথে সঙ্গতি রেখেই এর নাম করন করা হয়েছে অনুমান করা হয়। তবে বুড়িপোতা নামের উৎস বা ইতিহাস কারও জানানেই।

     প্রায় ৯৯২০ একর/৪০.৫৩ বর্গকিলোমিটার জায়গা জুড়ে এই ইউনিয়ন পরিষদ অবস্থিত।ভারত সীমান্তবর্তী বুড়িপোতা ইউনিয়নের উত্তরে কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদ, দক্ষিণে মুজিবনগর উপজেলার দারিয়াপুর ইউনিয়ন পরিষদ, পশ্চিমে ভারতের পশ্চিম বঙ্গ প্রদেশের নদীয়া জেলার নাটনা গ্রাম পঞ্চায়েত ও পুরবে মেহেরপুর পৌরসভা অবস্থিত।

 

     বুড়িপোতা ইউনিয়নে মোট গ্রামের সংখ্যা ১৭টি ও মৌজার সংখ্যা ১২টি। ১৭টি গ্রামের মধ্যে ভারত সীমান্ত এলাকার পাশ দিয়ে অবস্থিত যথাক্রমে ফতেপুর, কামদেবপুর, ইছাখালী, ঝাঁঝা, হরিরামপুর, বাজিতপুর,বুড়িপোতা, নবীননগর, বাড়ীবাঁকা, রাজাপুর আর্দশগ্রাম ও শালিকা এবং পুর্বপাশ দিয়ে প্রবাহিত ভৈরব নদী। নদীর পশ্চিমপাশ দিয়ে অবস্থিত গোভীপুর, যাদবপুর, রাজাপুর, বারাকপুর ও রাধাকান্তপুর গ্রাম।

     বুড়িপোতা ইউনিয়নের ভূমি-সমভূমি, কৃষিকাজে উপযুক্ত ও উরবর জমির মধ্যে একফসলী ২০৭.৫ হেক্টর, দু‘ফসলী ১৭১৫ হেক্টর, তিন ফসলী ১৫১৯.৫০ হেক্টর ও পতিত জমি ৮১.৮৯ হেক্টর।

     ২০০১ সালের আদম শুমারীর ফলাফল অনুযায়ী সবর্মোট ৩৭০৩৮ জন মানুষ অত্র এলকায় বসবাস করে। তার মধ্যে পুরুষ ১৯০৮০ জন মহিলা ১৭৯৫৮ জন। ১৯৯১ সালের আদম শুমারী অনুসারে পুরুষ ১৪৮১৫ জন, মহিলা ১৪২৯৭ জন সরবমোট ২৯১১২ জন। তবে সম্প্রতি একটি বেসরকারি জরীপ অনুসারে ইউনিয়নে বর্তমান লোকসংখ্যা পুরুষ ২২১৯৫ জন নারী ২০৫৪৩ জন  ৪২৭৩৮ জন অত্র এলাকায় সবর্মোট ২৪৫৭৪ জন ভোটার আছে। মোট খানার সংখ্যা ৬,৭৩২ টি। মোট বাড়ীর সংখ্যা ৬,৬৫৪টি। এর মধ্যে পাকা ১,০৫৫টি, সেমিপাকা ৩৩৯টি ও কাঁচা ৫,২৬০টি। রাস্তার পরিমাণ পাকা ৪৫ কিলোমিটার, এইচ বি বি ৬৭ কিলোমিটার ও কাঁচা ৪৭ কিলোমিটার।

     ইউনিয়নটি একসময় বুড়িপোতা ও গোভীপুর নামে ২টি ইউনিয়নে বিভক্ত ছিল।পরবর্তীকালে সরকার ২টিকে একত্রিত করে একটি ইউনিয়ন পরিষদ গঠন করেন। ১৯১৯ সনে ইউনিয়ন বোর্ড গঠন করা হয়। মোট সদস্যগের এক তৃতীয়াংশ সদস্য সরকারের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক মনোনয়ন দিতেন। অবশিষ্ট সদস্যগণ অবশ্যই জনগনের ভোটে নিবার্চিত হতেন। সদস্যগণ তাদের মধ্যে হতে একজন প্রেসিডেন্ট ও একজন ভাইস প্রেসিডেন্ট নিবার্চিত করতেন। এর কাযার্লয় ১৯১৯ সাল থেকে ৩(তিন) বৎসর ১৯৩৬ সাল থেকে ৪(চার) বৎসর ও ১৯৪৬ সালে মনোনয়ন প্রথা রহিত করা হয়। মৌলিক গণতন্ত্র আদেশ ১৯৫৯ এর অধীন ইউনিয়ন বোর্ডের নামকরণ করা হয় ইউনিয়ন কাউন্সিল ও বাংলাদেশ স্বাধীনতা উত্তরকালে ১৯৭২ সালে ইউনিয়ন কাউন্সিলের নাম বাতিল করে এর নামকরণ করা হয় ইউনিয়ন পঞ্চায়েত। ১৯৭৩ সালে পঞ্চায়েত নাম পরিবর্তন করে এর নামকরণ করা হয় ইউনিয়ন পরিষদ।

     মেহেরপুর শহর হতে আনুমানিক ৫(পাঁচ) কিলোমিটার পশ্চিমে বাড়ীবাঁকা গ্রামে বুড়িপোতা ইউনিয়ন পরিষদের পুরাতন কাযার্লয়টি অবস্থিত। উক্ত অফিসে ২০০৭ সালের ১৭ মে পযর্ন্ত নিয়মিত অফিস কাযর্ক্রম পরিচালনা করা হয়েছে। ১৮ শতক জমির উপর ঘরটি অবস্থিত। একতলা পুরাতন মডেলে ৫(পাঁচ) কক্ষ বিশিষ্ট অফিস ভবনটি সম্ভবত ১৯৫৬ সালের দিকে নির্মিত হয়েছে। বর্তমান ভবনটি একটি বেসরকারি সংস্থাকে ভাড়া দেওয়া হয়েছে। ভবনটি নির্মাণের পুরবে যখন যিনি এ পরিষদের প্রেসিডেন্ট/চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি নিজের সুবিধা মত নিজ বাস-ভবনকে কাযার্লয় হিসাবে ব্যবহার করেছেন। গোভীপুর থানার ঘাট হতে দারিয়াপুর হাট পযর্ন্ত পাকা রাস্তা  ও মেহেরপুর হতে বাড়ীবাঁকাগামী পাকা রাস্তার চৌমোড় হতে আনুমানিক ১(এক) কিলোমিটার উত্তর রাস্তায় পশ্চিম পার্শ্বে ৫০ শতক জমির উপর নবনির্মিত বুড়িপোতা ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ভবনের নির্মাণ কাজ দ্রুত সম্পাদনের লক্ষ্যে গত ০২/০৭/০৫ খ্রিঃ তারিখ অ-আনুষ্ঠানিক ভাবে মোঃ শাহ্জাহান আলী, ইউ,পি চেয়ারম্যান, উপসহকারী প্রকৌশলী মোঃ ফজলুল হক, ইউ,পি সদস্য মোঃ শফিউদ্দিন, মোঃ খোদাবকস্, মোঃ আলমগীর হোসেন, মোঃ মিয়ারুল ইসলাম উনাদের সহ আমি ইউ,পি সচিব, মোঃ সানোয়ার হোসেন উপস্থিতিতে  Layout এর মাধ্যমে কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করা হয়।

     নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হলে গত ১৭/০৫/২০০৭ ‍খ্রিঃ তারিখে মেহেরপুর জেলার তৎকালীন জেলা প্রশাসক জনাব মোঃ আতাহার আলী এর ব্যবস্থাপনায় জনাব মোঃ ইউনুসুর রহমান-বিভাগীয় কমিশনার, খুলনা বিভাগ, আনুষ্ঠানিক ভাবে এ কমপ্লেক্স ভবনের শুভ উদ্বোধন করেন। এ অনুষ্ঠানে জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন অফিসের কর্মকর্তাবৃন্দ মেহেরপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান জনাব মোঃ মুতাছিম বিল্লাহ্ ইউ,পি সকল সদস্য ও অত্র এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিল।

     বর্তমান কমপ্লেক্স ভবনে অফিসের যাবতীয় কাজ পরিচালনা করা হচ্ছে। ইউনিয়নের মধ্যস্থান হিসাবে এ স্থানটি নিবার্চিত করে কমপ্লেক্স ভনন নির্মাণের কাজ সরকারি ভাবে সমাপ্ত করা হয়েছে। ভবনটিতে বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় আধুনিক সুযোগ সুবিধা পেতে সকল কাজে অসুবিধা হচ্ছে।

     অত্র ইউনিয়ন পরিষদের প্রেসিডেন্ট/চেয়ারম্যান হিসাবে যারা সেবা করে গেছেন তাদের দুটি সময়কালের মধ্যে ভাগ করে তাদের সেবার কর্মকাল দেখানো যায়। ১৯৪২ সাল হতে ১৯৪৭ সালের দেশ বিভাগের পুরব পযর্ন্ত তৎকালীন ইউনিয়ন পরিষদে কারা দায়িত্ব পালন করে গেছেন তাদের ইতিহাস অদ্যাবধি পাওয়া যায় নি। ১৯৪৭ সালের দেশ বিভাগের পর ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভের পুবর্কাল পযর্ন্ত গোভীপুর ইউনিয়ন বোর্ডের প্রেসিডেন্ট হিসাবে ১৯৪৮ সালের দিকে ফতেপুর গ্রাম নিবাসী মরহুম খোদাবকস্ বিশ্বাস ও পরবর্তীকালে মরহুম আকুল বিশ্বাস দায়িত্ব পালন করেছেন। পরবর্তীতে ইউনিয়নটি বুড়িপোতা ইউনিয়নে সামিল হয়। ১৯৪৭ সালের দেশ বিভাগের পরে ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভের পুবর্কাল পযর্ন্ত বুড়িপোতা ইউনিয়ন বোর্ড/পরিষদে যারা প্রেসিডেন্ট/চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করে গেছেন তাদের মধ্যে অন্যতম বুড়িপোতা গ্রামের কৃতি সন্তান, বিশিষ্ট সমাজ সেবক, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব শিক্ষক, অনানারী ম্যাজিষ্ট্রেট ও অত্র এলাকার সরব শ্রদ্ধাভাজন মরহুম সাবদার আলী বিশ্বাস, দুই মেয়াদকালের জন্য সেবা প্রদান করেছেন। তবে তাঁর কর্মকাল সম্পর্কে সঠিক সাল তারিখ অদ্যাবধি পাওয়া যায় নি। পরবর্তীকালে শালিকা গ্রাম নিবাসী মরহুম আব্দুল গনি মোল্লা, রাজাপুর গ্রাম নিবাসী মরহুম জমিরউদ্দীন বিশ্বাস, ফতেপুর গ্রাম নিবাসী মরহুম আব্দুল গনি বিশ্বাস চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। সম্ভবত মরহুম আব্দুল গণি বিশ্বাস ২(দুই) বার চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

     ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা পুবর্কালে যারা চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন, তাদের মেয়াদের কাযর্কাল সঠিকভাবে অদ্যাবধি জানা যায়নি। ১৯৭১ সালের দেশ স্বাধীনের পর ইউনিয়ন রিলিফ কমিটির চেয়ারম্যান হরিরামপুর নিবাসী মরহুম আজিজুল হক বিশ্বাস অত্র ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসাবে ১৯৭৩ সাল পযর্ন্ত দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৩ সালে প্রথম ইউনিয়ন পরিষদ নিবার্চনে জয়লাভ করে চেয়ারম্যান হিসাবে নিবার্চিত হন গোভীপুর গ্রামের সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম আকুল বিশ্বাসের পুত্র মরহুম আবুল কাশেম। তিনি ১৯৭৩ হতে ১৯৮৪ সাল পযর্ন্ত পর পর ২(দুই) বার ও ১৯৮৮-১৯৯৩ সালে পুনঃরায় বুড়িপোতা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীকালে শালিকা গ্রাম নিবাসী জনাব মোঃ খেদের আলী ১৯৮৪-১৯৮৮ ও ১৯৯৮-২০০৩ সাল পযর্ন্ত ২(দুই) বার চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।রাধাকান্তপুর নিবাসী জনাব মোঃ সোবহান মন্ডল ১৯৯৩ হতে ১৯৯৮ সাল ও বুড়িপোতা গ্রাম নিবাসি জনাব মোঃ শাহজাহান আলী ২৪/০৩/২০০৩ হইতে ২৭/০৭/২০১১ সাল পযর্ন্ত দায়িত্ব পালন করেছেন।বর্তমান চেয়ারম্যান জনাব মোঃ আব্দুর রউফ এই পরিষদকে নিয়ে গত ২০১১ সালের ২৭ জুলাই হইতে দায়িত্ব পালন করছেন।

     বতর্মান কমপ্লেক্স ভবন এর ৩(তিন) কিলোমিটার পশ্চিমে ইউনিয়ন ভূমি অফিস অবস্থিত। বুড়িপোতা ইউনিয়ন এলাকায় ২৫ (পচিঁশ)টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে। এর মধ্যে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ১০ (দশ)টি, রেজিঃ প্রাথমিক বিদ্যালয় ৫(পাঁচ)টি, স্বল্প ব্যয়ী ২(দুই)টি, মাদ্রাসার সংখ্যা ২(দুই)টি, রেজিঃ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৬(ছয়)টি, ও কারিগরী বিদ্যালয় ১(এক)টি। শালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও গোভীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি স্বাধীনতা লাভ পুবকালে প্রতিষ্ঠিত। বিদ্যালয় দুইটির প্রয়োজনীয় শ্রেণী কক্ষ, সরঞ্জাম ও উপকরনাদী আছে। বাকিগুলির অবস্থা ভাল নয়। ইউনিয়নের স্বাক্ষরতা দানে সক্ষম ব্যক্তিদের সংখ্যা শতকরা ৪৫ ভাগ। মেহেরপুর জেলাকে ১০০ ভাগ স্বাক্ষরতা দানের একটি প্রকল্প সরকার গ্রহণ করেছিলেন যার ফলাফলে উক্ত চিত্র দেখা যায়। শিক্ষার হার শতকরা ৩৭.১৫ (পুরুষ ৩৯.৪২ মহিলা ৩৪.৭৬) ভাগ। এ এলাকাকে শিক্ষার ক্ষেত্রে আরও মূল্যায়ন করা উচিত। ইউনিয়নে মসজিদের সংখ্যা ৫১(একান্ন)টি। এর মধ্যে বুড়িপোতা দক্ষিণ পাড়া জামে মসজিদটি সবচেয়ে পুরানো মসজিদ। বাংলা ১২১৪-১৫ সালের দিকে বর্তমানে ভারতে অবস্থিত বেতাই গ্রামের পীর কামেল, হযরত লুৎফল হক (রঃ) মসজিদটির ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। ৩(তিন) টি গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদটির নির্মাণ কৌশল চমৎকার বর্তমানে মসজিদের গম্বুজের মাঝে ফাটল ধরেছে, তবে মেরামত করে ধরে রাখলে এটি অতীতকালের উন্নত স্থাপত্য শিল্পের নিদর্শন হিসাবে মানুষের দৃষ্টিনন্দন হয়ে থাকবে। স্থানীয় ভাবে মসজিদটির আধুনিক সংস্কার করা হয়েছে।

     বুড়িপোতা ইউনিয়নের শালিকা গ্রামের একটি স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র আছে। বর্তমানে  ডাক্তার নিয়োগ দেওয়া হলেও তিনি ডেপুটেশনে অন্যত্র কর্মরত। ৫(পাঁচ) টি কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে। স্বাস্থ্য সেবার মান নিম্ন পযায়ে তবে স্বাস্থ্য কেন্দ্রে সাবক্ষণিক একজন এম,বি,বি,এস ডাক্তার কর্মরত থাকলে   কমিউনিটি ক্লিনিকগুলি আরও স্বচল হবে এবং স্বাস্থ্য সেবার মান বাড়বে। সক্ষম দম্পত্তির জনগোষ্ঠির শতকরা ৭৯.৫৪ ভাগকে পরিবার পরিকল্পনা কাযক্রমের আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে। স্বাস্থ্য সম্মত পায়খানা সরবরাহ ও ব্যবহারের জন্য ব্যাপক কর্মসূচী গ্রহণ করে সকলকে স্যানিটেশনের আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে। পরিবার বৃদ্ধি পাওয়ায় লক্ষ্য অর্জনের জন্য অত্র ইউনিয়ন পরিষদে ইউনিয়ন ওয়াটসন কমিটি গঠন করে এর কাযর্ক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। এ ইউনিয়নে পূরবের জরীপ দেখা যায মোট খানা/পরিবারের সংখ্যা ৬৩৩৫টি। এর মধ্যে ৯৪৫টি পায়কানা নির্মাণ ছাড়াই যত্রতত্র মলত্যাগ করতেন। সরকারি ভাবে বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে হত দরিদ্র পরিবারগুলির মধ্যে রিংস্লাব সরবরাহ করে বুড়িপোতা ইউনিয়ন এলাকাকে ১০০ ভাগ স্যানিটেশনের আওতায় আনার পরিকল্পনা ২০০৯-১০ অর্থ বছরে গ্রহণ করা হয়েছে। ইতি মধ্যে এই লক্ষ্য অর্জন করলেও এলাকায় পরিবার সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় ১০০ ভাগ স্যানিটেশন ঘোষণা করা সম্ভব হয় নি। ২০০৮ সালের জুন মাসের মধ্যে অত্র ইউনিয়ন এলাকায় ১০০% জন্ম নিবন্ধন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ব্যাপক কাযক্রম গ্রহন করা হয়েছিল। ইতি মধ্যে ১০০% মানুষের জন্ম নিবন্ধন ও ১০০% মানুষের নিবন্ধন সনদ বিতরন করা হয়েছে। বর্তমান স্বাভাবিক নিবন্ধন কাযর্ক্রম চলছে।

     খাদ্য উৎপাদনে মেহেরপুর জেলা দেশের উদ্বৃত্ত খাদ্য উৎপাদন জেলা হিসাবে চিহ্নিত। বুড়িপোতা ইউনিয়ন তারই একটি অংশ। অত্র ইউনিয়নে রয়েছে চাষের উপযুক্ত জমি। স্বাধীনতার পুবর্কালে এখানে কৃষির তেমন কোনও উন্নতি হয়নি। বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভের পরবর্তীকালে বিশেষ করে ১৯৭৬ সালের দিকে কৃষকদের মধ্যে ব্যাপক ভাবে অগভীর ও গভীর নলকূপের সরবরাহ করা হলে চাষে একটি বৈপল্লবিক পরিবর্তন আসে। বর্তমানে উপসী, ইরি জাত, বোরো ধান, গম, সবজি, কলা, তামাক ইত্যাদি চাষে ব্যাপক ফলন পাওয়া যাচ্ছে। এলাকার চাহিদা মিটিয়েও উদ্বৃত্ত খাদ্য, সবজি, কলা ও অন্যান্য শস্যাদি ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনাসহ বিভিন্ন এলাকায় পাঠানো হচ্ছে। টোব্যাকো তামাক চাষে শীর্ষে অবস্থান করছে। বুড়িপোতা ইউনিয়ন এলাকা। এখানে উন্নতমানের তামাক উৎপাদন হয়ে তা বিদেশে রপ্তানী হচ্ছে। বর্তমানে ডিজেল, রাসায়নিক সার ইত্যাদির মূল্য বৃদ্ধির জন্য কৃষকরা আশানুরুপ লাভবান হতে পারছে না। ইউনিয়নের সব গ্রামে মেহেরপুর পল্লী বিদ্যূৎ সমিতি বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে সক্ষম হয়েছে। মাঠে মাঠে ডিজেল চালিত অগভীর নলকূপগুলিতে শর্ত শিথীল করে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারলে কুষিতে আরও পরিবর্তন আনা সম্ভব হবে। কৃষি উপযুক্ত জমিগুলির কিছু কিছু নীচুজলা ভূমি। এ গুলিতে শুধুমাত্র একবার ধান উৎপাদন হয়। বর্ষাকালে এর কিছু কিছু জমিতে দেশী পোনা মাছের চাষ হচ্ছে। বাকীগুলি অনাবাদী হিসাবে পড়ে থাকছে। জলাভূমির মালিকদের উদ্বুদ্ধ করে সমবায় ভিত্তিতে এ সকল জলাভূমিতে বিলুপ্ত প্রায় দেশি কৈ, মাগুর, শিং, গলদা চিংড়ি প্রভৃতি মাছ চাষের ব্যবস্থা করলে কৃষকরা আরও লাভবান হবে। দারিদ্র বিমোচনে গরু ছাগল, ভেড়া, হাঁস-মুরগী পালনে কৃষককে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। দেশী গরু, ছাগল, ভেড়া প্রজাতির পশু বিলুপ্তির পথে। উপযুক্ত উদ্দোক্তাদের খুঁজে বের করে তাদের ঋণ সরবরাহ করে বিভিন্ন উদ্দ্যোগ গ্রহণ করলে অনেকে গবাদি পশু পালন করে অধিক লাভবান হবেন। এ ধরণের কৃষকদের ছাগল ভেড়া, হাঁস-মুরগী পালনে উৎসাহিত করতে হবে। এ ইউনিয়নে হরিরামপুর গ্রামে একটা বড় বিল রয়েছে। এখানে মাছ চাষের পাশাপাশি হাঁস চাষ খুব লাভজনক হয়ে উঠতে পারে। এ ব্যাপারে হরিরামপুর মৎসজীবি সমবায় সমিতির সদস্যদের উৎসাহিত করতে হবে।

     ইউনিয়নে অধিকাংশ রাস্তা কাঁচা। কিছু এইচ,বি,বি,করণ সম্ভব হয়েছে। অল্প পরিমাণে পাকা ও কার্পেটিং করা সম্ভব হয়েছে। গোভীপুর গ্রাম হতে দারিয়াপুর হাট রাস্তাটি ১৬.২৫ কিলোমিটার রাস্তার প্রশস্ত ও উন্নতমানের কার্পেটিং রাস্তার কাজ শেষ হওয়ায় রাস্তাটি ইউনিয়নের অধিকাংশ গ্রামের সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে। এছাড়া মেহেরপুর উপজেলা হতে বুড়িপোতা ইউনিয়ন পরিষদের সংযোগ সড়কটি বিগত বর্ষায় প্রায় অচল হয়ে গেছে। রাস্তাটিকে আরও উঁচু ও প্রশস্ত করে পুনঃ নির্মাণ প্রয়োজন এবং ইউনিয়নের বাকি কাঁচা ও এইচ,বি,বি রাস্তাগুলি পযায়ক্রমে কার্পেটিং রাস্তায় পরিনত করতে পারলে ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার উৎপাদিত শস্য ও সবজি দেশের দুর দুরান্তে স্বল্প ব্যয়ে কৃষকরা পাঠিয়ে উপযুক্ত মূল্যে বিক্রয় করে কৃষকগণ লাভবান হতে পারবেন। অত্র এলাকায় কোনও ক্ষুদ্র বা মাঝারী শিল্প নেই। গোভীপুর গ্রামের একটা অংশে কয়েক ঘর দাস পরিবার বাস করে। তারা বাঁশের তৈরী ডালা, কুলা ইত্যাদি তৈরী করে বাজারে বিক্রয় করে। এ সামান্য কুঠির শিল্প ছাড়া অন্য কোন কুটির শিল্পের অস্তিত্ব এখানে নেই। ফলে অশিক্ষিত, শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা বাড়ছে। এ বাড়তি বেকার যুবকও মহিলাদের বিভিন্ন আয় বর্ধক কাজের প্রশিক্ষণ ও ঋণ দিয়ে তাদের আত্মনির্ভরশীল হবার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে পারলে তারা দেশের জনশক্তিতে পরিণত হবে। অত্র ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় আইন শৃংখলা সবর্দা প্রায় উন্নত পযায়ে ছিল। আইন শৃংখলার অবনতি ও মাদক দ্রব্যের ব্যবহার বৃদ্ধি রোধ করতে ইউ,পি কমপ্লেক্স ভবনের পাশে একটি পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন করলে অত্র ইউনিয়ন এলাকার আইন শৃংখলার অবস্থা আরও স্বাভাবিক থাকবে। বুড়িপোতা ইউনিয়ন পরিষদের পশ্চিম দিকে প্রায় ১০(দশ) কিলোমিটার জুড়ে রয়েছে বাংলাদেশে ভারত সীমান্ত।

     সীমান্ত রক্ষা ও চোরাচালান প্রতিরোধের জন্য অত্র ইউনিয়নে রয়েছে ৩টি বি ডি আর সীমান্ত ফাঁড়ি। বাড়ীবাঁকা গ্রামের দক্ষিণে রয়েছে বুড়িপোতা কোম্পানী হেড কোয়াটার্স। ঐ হেড কোয়াটার্স হতে দারিয়াপুর সীমান্ত ফাঁড়ির ব্যবধান অনেক। সীমান্তরক্ষায় ও চোরাচালান প্রতিরোধে শালিকা গ্রামের দক্ষিণে একটি ও বাজিতপুর সীমান্ত ফাঁড়ি হতে ইছাখালী সীমান্ত ফাঁড়ির মধ্যখানে আরও একটা মোট ২টি নতুন ফাঁড়ি স্থাপন ও সীমান্ত ফাঁড়িগুলিতে জনবল বাড়ানোর প্রয়োজন।

     এছাড়াও ভারতের ন্যায় আমাদের সীমান্ত রোড নির্মাণের বিশেষ প্রয়োজন। এ ধরনের একটা সীমান্ত রোড নির্মাণের পরিকল্পনা সরকার গ্রহণ করে ইতিমধ্যে জমি চিহ্নিত করেছে। কিন্তু এর নির্মাণ কাজে তেমন কোনও অগ্রগতি হয়নি। এহেন একটা কার্পেটিং সীমান্ত রাস্তা নির্মাণ করা সম্ভব হলে বি ডি আর বাহিনী টহল জোরদার করতে পারবে। সীমান্ত রক্ষা ও অন্যান্য মালামাল চোরাচালান প্রতিরোধে বি ডি আর বাহিনী সফল হবে। সম্প্রতি শোনা যাচ্ছে যে, সরকার মেহেরপুর হতে ভারতের তেহট্ট পযর্ন্ত রাস্তার পাশে বাংলাদেশ ভূখন্ডে বাড়ীবাঁকা মৌজার জমিতে ভারতের সাথে ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার ঘটাতে একটা স্থলবন্দর নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়েছেন। যদি এ ধরণের একটি স্থল বন্দর তৈরী হয় তবে বুড়িপোতা ইউনিয়ন বাসীর বেকার জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান হবে ও ব্যবসা বাণিজ্যেও ব্যাপক প্রসার ঘটবে। মানুষ কাজ পাবে ও আর্থিক ভাবে লাভবান হবে।

১৯৪৭ সালের দেশ-বিভাগের পূবকালে অত্র এলাকায় উন্নয়নের তেমন কোনও ছোঁয়া লাগেনি স্বাধীনতা লাভের পর দেশের অন্যান্য এলাকার ন্যায় বুড়িপোতা ইউনিয়নেও উন্নয়নের গতি সঞ্চারিত হয় ও এলাকায় রাস্তাঘাট, কালভার্ট, স্কুল, মাদ্রাসা প্রভৃতি ভৌতা ও অবকাঠামো নির্মাণ যথেষ্ট অগ্রসরতা লাভ করেছে। এছাড়া বিদ্যুৎ সরবরাহ ও বিশেষ ভাবে কৃষিতে ব্যাপক উন্নতি লাভ করছে। তবে পৌরসভার তুলনায় ইউনিয়ন পরিষদগুলিতে উন্নয়নের জন্য সরকার সামান্য এই অর্থ বরাদ্দ দেন।

     উল্লেখ্য যে, সরকারের প্রাপ্ত বরাদ্দ ও স্থানীয় আয়ের সঠিক ব্যবহার, এলাকার জনগোষ্ঠীর জীবন যাত্রার মান উন্নয়ন ও কেন্দীয় সরকারের উন্নয়ন মুলক বিভিন্ন দিক নির্দেশনা সঠিক ভাবে বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ সঠিক ভূমিকা রাখায় ২০০৪-০৫ অর্থ বছরে অত্র জেলার শ্রেষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসাবে স্বীকৃতি লাভ করে জনাব, মোঃ শাহ্জাহান আলী, চেয়ারম্যান বুড়িপোতা ইউনিয়ন পরিষদ জাতীয় ভাবে জেলার শ্রেষ্ট চেয়ারম্যান স্বর্ণের পদক লাভ করেন। ধারাবাহিকতা বজায় রেখে ২০০৬-০৭ অর্থ বছরেও জেলার শ্রেষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নিবার্চিত হন এবং সরকারি ভাবে ৮ই ডিসেম্বর হইতে ১৫ই ডিসেম্বর ২০০৭ পযর্ন্ত চীন সফর করেন। একই ধারাবাহিকতায় ২০০৮-০৯, ২০০৯-১০ ও ২০১০-১১ অর্থ বছরের জেলার সবোর্চ্চ থোক বরাদ্দ পাই সাবির্ক কর্মকান্ডের কারনে।  আশা করা যায় আগামীতেও এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে।

     এ ইউনিয়ন পরিষদ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর কর্তৃক পল্লী প্রকল্প -২৫ এর আওতায় জনগণের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত রেখে জবাবদিহি মুলক কর্মকান্ড পরিচালনার জন্য নিবার্চিত হয়ে ২০০৮-০৯ অর্থ বছরে থেকে পাইলট প্রকল্প ভুক্ত হয়েছে। এ প্রকল্পে মেহেরপুর জেলার ১৮টি ইউনিয়নের তুলনায় প্রায় ৩(তিন) গুণ।

         ইউনিয়ন ব্যবস্থাপনা ও উন্নয়নের অবদানের স্বীকৃতি হিসাবে এ ইউনিয়ন পরিষদ স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় কর্তৃক এল,জি,এস,পি প্রকল্পের আওতায় জনগনের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত রেখে আরও উন্নয়ন মুলক কর্মকান্ড পরিচালনার জন্য নিবার্চিত হয়ে বিগত ২০০৪-০৫ অর্থ বছর হইতে এই প্রকল্পের কাযর্ক্রম পরিচালনা করে আসছে। উল্লেখিত অর্থ বছরে এ প্রকল্পে সদর উপজেলায় এক মাত্র বুড়িপোতা ইউনিয়ন সুযোগ পেয়ে ছিল। প্রকল্প ভুক্ত হওয়ায় উন্নয়ন কর্মকান্ডে প্রাপ্ত অর্থ সরাসরি ইউনিয়ন পরিষদ এর কাছে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় প্রেরণ করে। প্রেরিত অর্থ অন্যান্য ইউনিয়নের তুলনায় প্রায় ৩ (তিন) গুন।

     বরাদ্দ বৃদ্ধি পেলে বৃক্ষরোপণ, পরিবেশ সংরক্ষণ স্বাস্থ্য ও স্যানিটেশনের ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন সম্ভব হবে। ফলে মানুষের জীবনের মান উন্নয়ন হবে। অত্র ইউনিয়ন এলাকায় মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটবে এবং অনেকে ত্যাগ স্বীকারে অর্জিত আমাদের স্বাধীনতার সুফল মানুষের ঘরে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে।

 

এই তথ্যটি ১৫-০৭-২০১৬ ইং তারিখে আপডেট করা হয়েছে। এই তথ্যটির বিষয়ে আপনার মন্তব্য কি তা জানাতে পারেন।