Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

গ্রাম আদালত আইন

গ্রাম আদালত (সংশোধন) আইন, ২০১৩

বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ
ঢাকা, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৩/১০ আশ্বিন, ১৪২০
সংসদ কর্তৃক গৃহীত নিমড়বলিখিত আইনটি ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৩ (১০ আশ্বিন, ১৪২০) তারিখে
রাষ্ট্রপতির সম্মতি লাভ করিয়াছে এবং এতদ্বারা এই আইনটি সর্বসাধারণের অবগতির জন্য প্রকাশ করা
যাইতেছে -২০১৩ সনের ৩৬ নং আইন গ্রাম আদালত আইন, ২০০৬ এর সংশোধনকল্পে প্রনীত আইন
যেহেতু, নিমড়ববর্ণিত উদ্দেশ্যসমূহ পূরণকল্পে গ্রাম আদালত আইন, ২০০৬ (২০০৬ সনের ১৯ নং আইন) এর সংশোধন সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;
সেহেতু এতদ্বারা নিন্মরূপ আইন করা হইল :-
১। সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন।-(১) এই আইন গ্রাম আদালত (সংশোধন) আইন, ২০১৩ নামে অভিহিত হইবে।
(২) ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে।

২। ২০০৬ সনের ১৯ নং আইনের ধারা ২ এর সংশোধন।-গ্রাম আদালত আইন, ২০০৬ (২০০৬ সনের ১৯ নং আইন), অতঃপর উক্ত আইন বলিয়া উল্লিখিত, এর ধারা (২) এর-
(ক) দফা (খ) এর পরিবর্তে নিন্মরূপ দফা (খ) প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:- “(খ) “ইউনিয়ন” অর্থ স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯
(২০০৯ সনের ৬১ নং আইন) এর ধারা ২ এর দফা (৫) এ সংজ্ঞায়িত ইউনিয়ন;”; (৮২১৭) মূল্য টাকা ৮.০০
৮২১৮ বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৩ (খ) দফা (গ) এর পরিবর্তে নিন্মরূপ দফা (গ) প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:- “(গ) “ইউনিয়ন পরিষদ” অর্থ স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯ (২০০৯ সনের ৬১ নং আইন) এর ধারা ২ এর দফা (৬) এ সংজ্ঞায়িত ইউনিয়ন পরিষদ;”।

৩। ২০০৬ সনের ১৯ নং আইনের ধারা ৩ এর সংশোধন।-উক্ত আইনের ধারা ৩ এর উপধারা (২) এ উল্লিখিত “গ্রাম আদালত কর্তৃক তফসিলের প্রথম অংশে বর্ণিত কোন অপরাধের সহিত সম্পর্কিত কোন মামলা বিচার্য হইবে না যদি উক্ত মামলায় আমলযোগ্য কোন অপরাধের দায়ে কোন ব্যক্তি দোষী সাব্যস্ত হইয়া ইতোপূর্বে গ্রাম আদালত কর্তৃক দ-প্রাপ্ত হইয়া থাকেন” শব্দগুলির পরিবর্তে “গ্রাম আদালতে তফসিলের প্রম অংশে বর্ণিত কোন ফৌজদারী মামলা বিচার্য হইবে না যদি উক্ত মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তি পূর্বে কোন সময়ে গ্রাম আদালত বা আমলযোগ্য অপরাধে অন্য কোন আদালত কর্তৃক দ-প্রাপ্ত হইয়া থাকেন” শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে।

৪। ২০০৬ সনের ১৯ নং আইনের ধারা ৪ এর সংশোধন।-উক্ত আইনের ধারা ৪ এর উপ-ধারা (২) এর পর নিন্মরূপ নূতন উপ-ধারা (৩) সংযোজিত হইবে, যথা :- “(৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন রিভিশনের আবেদন প্রাপ্তির পর সংশিষ্ট সহকারী জজ উহা প্রাপ্তির তারিখ হইতে ৩০(ত্রিশ) দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করিবেন”।

৫। ২০০৬ সনের ১৯ নং আইনের ধারা ৫ এর সংশোধন।-উক্ত আইনের ধারা ৫ এর- (ক) উপ-ধারা (১) এর শর্তাংশের প্রন্তস্থিত দাঁড়ির পরিবর্তে কোলন প্রতিস্থাপিত হইবে এবং অতঃপর নিন্মরূপ নূতন শর্তাংশ সংযোজিত হইবে, যথা :- “তবে আরো শর্ত থাকে যে, তফসিলের প্রম অংশে বর্ণিত ফৌজদারী মামলার সহিত নাবালক এবং তফসিলের প্রম ও দ্বিতীয় অংশে বর্ণিত ফৌজদারী ও দেওয়ানী মামলার সহিত কোন নারীর স্বার্থ জড়িত থাকিলে, সংশ্লিষ্ট পক্ষ সদস্য মনোনয়নের ক্ষেত্রে একজন নারীকে সদস্য হিসাবে মনোনয়ন প্রদান করিবেন।”; (খ) উপ-ধারা (৫) এর পরিবর্তে নিন্মরূপ উপ-ধারা (৫) প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা :- “(৫) এই আইন বা আপাতত বলবৎ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে- (ক) আবেদনকারী সদস্য মনোনয়ন প্রদান করিতে ব্যর্থ হইলে চেয়ারম্যান লিখিতভাবে এইরূপ ব্যর্থতার কারণ উল্লেখ করিয়া; অথবা বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৩ ৮২১৯ (খ) প্রতিবাদী সদস্য মনোনয়ন করিতে ব্যর্থ হইলে, আবেদনকারী বিচারযোগ্য বিষয়ে উপযুক্ত আদালতে মামলা করিতে পরিবেন মর্মে চেয়ারম্যান, নির্ধারিত পদ্ধতিতে, সনদ প্রদান করিয়া আবেদনপত্রটি আবেদনকারীর নিকট ফেরত দিবেন।”।

৬। ২০০৬ সনের ১৯নং আইনে নূতন ধারা ৬ক, ৬খ ও ৬গ এর সনিড়ববেশ।-উক্ত আইনের ধারা ৬ এর পর নিন্মরূপ নূতন ধারা যথাক্রমে ৬ক, ৬খ ও ৬গ সনিড়ববেশিত হইবে, যথা :- “৬ক। মামলা দায়েরের সময়সীমা।- Limitation Act, 1908 (Act No. IX of 1908) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, তফসিলের- (ক) প্রম অংশে বর্ণিত ফৌজদারী মামলা দায়েরের ক্ষেত্রে অপরাধ সংঘটিত হইবার ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে; এবং (খ) দ্বিতীয় অংশের ক্রমিক নং ৩ এ বর্ণিত দেওয়ানী মামলা ব্যতীত অন্যান্য দেওয়ানী মামলা দায়েরের ক্ষেত্রে মামলার কারণ উদ্ভব হইবার ৬০(ষাট) দিনের মধ্যে সংশিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের নিকট আবেদন করিতে হইবে। ৬খ। প্রাক বিচার।-(১) ধারা ৫ এর অধীন গ্রাম আদালত গঠিত হইবার অনধিক ১৫ (পনের) দিনের মধ্যে গ্রাম আদালতের প্রম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হইবে এবং উক্ত অধিবেশনে গ্রাম আদালত উভয় পক্ষের শুনানী করিয়া মামলার বিচার্য বিষয় নির্ধারণ করিবে এবং পক্ষগণের মধ্যে আপোষ বা মীমাংসার মাধ্যমে বিচার্য বিষয় নিষ্পত্তির উদ্যোগ গ্রহণ করিবে। (২) উপ-ধারা (১) অনুযায়ী আপোষ বা মীমাংসার মাধ্যমে বিচার্য বিষয় নির্ধারণ করা হইলে, উক্তরূপ উদ্যোগ গ্রহণের তারিখ হইতে ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে উহা নিষ্পত্তি করিতে হইবে। (৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন বিচার্য বিষয় নিষ্পত্তি হইলে, মীমাংসার শর্তাবলী উল্লেখপূর্বক উভয়পক্ষ যৌথভাবে একটি পোষনামা স্বাক্ষর বা বাম হস্তের বৃদ্ধাঙ্গুলির ছাপ প্রদান করিবেন এবং সাক্ষী হিসাবে উভয়পক্ষের মনোনীত সদস্যগণ আপোষনামায় স্বাক্ষর করিবেন। (৪) উপ-ধারা (৩) অনুযায়ী আপোষনামা স্বাক্ষরিত হইলে, গ্রাম আদালত নির্ধারিত ফরমে উহার আদেশ লিপিবদ্ধ করিবে এবং উক্তরূপ আদেশ গ্রাম লতের আদেশ বা ডিক্রী বলিয়া গণ্য হইবে। ৮২২০ বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৩ (৫) এই ধারার অধীন আপোষনামার মাধ্যমে বিচার্য বিষয় নিষ্পত্তি করা হইলে উহার বিরুদ্ধে আপীল বা রিভিশন দায়ের করা যাইবে না। ৬গ। মামলা নিষ্পত্তির সময়সীমা।-(১) ধারা ৬খ এর অধীন কোন মামলা নিষ্পত্তি করা সম্ভব না হইলে, গ্রাম আদালত ১৫ (পনের) দিনের মধ্যে মামলাটির শুনানীর কার্যক্রম শুরু করিবে: তবে শর্ত থাকে যে, শুনানীর কার্যক্রম শুরু করিবার পূর্বে মামলার কোন পক্ষ, চেয়ারম্যানের অনুমতিক্রমে, যুক্তিসঙ্গত কারণ প্রদর্শন করিয়া, তৎকর্তৃক ইতোপূর্বে মনোনীত কোন সদস্যকে পরিবর্তন করিয়া অন্য কোন সদস্য মনোনয়ন করিতে পারিবেন। (২) উপ-ধারা (২) এর অধীন শুনানীর কার্যক্রম শুরু হইবার অনধিক ৯০ (নব্বই) দিনের মধ্যে মামলাটি নিষ্পত্তি করিতে হইবে; তবে শর্ত থাকে যে, উক্ত সময়সীমার মধ্যে মামলা নিষ্পত্তি করা সম্ভব না হইলে, গ্রাম আদালত কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া পরবর্তী ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে মামলাটি নিষ্পত্তি করিবে। (৩) উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত সময়সীমার মধ্যে মামলা নিষ্পত্তি করা সম্ভব না হইলে, উক্ত মেয়াদ শেষে গ্রাম আদালত স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভাঙ্গিয়া যাইবে। (৪) এই আইনের অন্যান্য বিধানে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই ধারার অধীন নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণ ব্যতিরেকে গ্রাম আদালত মামলা নিষ্পত্তি করিতে ব্যর্থ হইলে এবং গ্রাম আদালত ভাঙ্গিয়া গেলে সংক্ষুব্ধ পক্ষ গ্রাম আদালত ভাঙ্গিয়া যাইবার ৬০(ষাট) দিনের মধ্যে উপযুক্ত আদালতে মামলা দায়ের করিতে পারিবেন।”।

৭। ২০০৬ সনের ১৯ নং আইনের ধারা ৭ এর সংশোধন।-উক্ত আইনের ধারা ৭ এর উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত “পঁচিশ” শব্দের পরিবর্তে “৭৫ (পঁচাত্তর)” সংখ্যা, বন্ধনী ও শব্দ প্রতিস্থাপিত হইবে।

৮। ২০০৬ সনের ১৯ নং আইনের ধারা ৯ এর সংশোধন।-উক্ত আইনের ধারা ৯ এর উপ-ধারা (৩) এ উল্লিখিত “চঁনষরপ উবসধহফং জবপড়াবৎু অপঃ, ১৯১৩ (অপঃ ওওও ড়ভ ১৯১৩)” শব্দগুলি, কমা, সংখ্যাগুলি ও বন্ধনীর পরিবর্তে “স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯ (২০০৯ সনের ৬১ নং আইন)” শব্দগুলি, বন্ধনীগুলি, কমা ও সংখ্যাগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে।
বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৩ ৮২২১

৯। ২০০৬ সনের ১৯ নং আইনে নূতন ধারা ৯ক এর সনিড়ববেশ।-উক্ত আইনের ধারা ৯ এর পর নিন্মরূপ নূতন ধারা ৯ক সনিড়ববেশিত হইবে, যথা:- “৯ক। মিথ্যা মামলা দায়েরের জরিমানা।-(১) যদি কোন ব্যক্তি অন্য কোন ব্যক্তির ক্ষতিসাধনের অভিপ্রায়ে উক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে এই আইনের অধীন মামলা করিবার জন্য ন্যায্য বা আইনানুগ কারণ নাই জানিয়াও মামলা দায়ের করেন বা করান, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তিকে অনধিক ৫ (পাঁচ) হাজার টাকা জরিমানা করা যাইবে। (২) উপ-ধারা (১) এর অধীন আরোপিত জরিমানার টাকা মিথ্যা মামলা দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তির জন্য ক্ষতিপূরণ হিসাবে গণ্য হইবে এবং উহা ধারা ৯ এর উপ-ধারা (৩) এর বিধান অনুসারে আদায়যোগ্য হইবে।”।

১০। ২০০৬ সনের ১৯নং আইনের ধারা ১০ এর সংশোধন।-উক্ত আইনের ধারা ১০ এর উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত “পাঁচশত” শব্দের পরিবর্তে “১(এক) হাজার” সংখ্যা, বন্ধনী ও শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে।

১১। ২০০৬ সনের ১৯নং আইনের ধারা ১১ এর সংশোধন।-উক্ত আইনের ধারা ১১ এর উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত “পাঁচশত” শব্দের পরিবর্তে “১(এক) হাজার” সংখ্যা, বন্ধনী ও শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে।

১২। ২০০৬ সনের ১৯নং আইনের ধারা ১২ এর প্রতিস্থাপন।-উক্ত আইনের ধারা ১২ এর পরিবর্তে নিন্মরূপ ধারা ১২ প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা :- “১২। জরিমানা আদায়।-(১) ধারা ১০ ও ১১ এর অধীন আরোপিত কোন জরিমানা তৎক্ষণাৎ আদায় না হইলে, গ্রাম আদালত তৎকর্তৃক আরোপিত জরিমানার অর্থের পরিমাণসহ উক্ত অর্থ অনাদায়ের কারণ উল্লেখপূর্বক একটি আদেশ ইউনিয়ন পরিষদে প্রেরণ করিবে এবং উক্ত অর্থ ইউনিয়ন পরিষদ তৎকর্তৃক আরোপিত করগণ্যে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯ (২০০৯ সনের ৬১নং আইন) এর অধীন আদায় করিবে। (২) ধারা ১০ ও ১১ এর অধীন গ্রাম আদালতের নিকট জমাকৃত বা, ক্ষেত্রমত, উপ-ধারা (১) এর অধীন আদায়কৃত জরিমানার অর্থ ইউনিয়ন পরিষদ তহবিলে জমা হইবে।”। ৮২২২ বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৩

১৩। ২০০৬ সনের ১৯নং আইনের ধারা ১৩ এর সংশোধন।-উক্ত আইনের ধারা ১৩ এর- (ক) উপ-ধারা (১) এর পরিবর্তে নিন্মরূপ উপ-ধারা (১) প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা :- “(১) এই আইনে ভিনড়বরূপ কোন বিধান না থাকিলে, ঊারফধহপব অপঃ, ১৮৭২ (অপঃ ঘড়. ১ ড়ভ ১৮৭২) ও ফৌজদারী কার্যবিধির বিধানাবলী এবং দেওয়ানী কার্যবিধির ধারা ১০ ও ১১ ব্যতীত অন্যান্য বিধানাবলী গ্রাম আদালতে দায়েরকৃত মামলার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে না।”; (খ) উপ-ধারা (৩) এ উল্লিখিত “এই আইনের” শব্দগুলির পরিবর্তে “তফসিলের প্রথমঅংশের” শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে।

১৪। ২০০৬ সনের ১৯নং আইনের ধারা ১৬ এর সংশোধন।-উক্ত আইনের ধারা ১৬ এর- (ক) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত “জেলা ম্যাজিস্ট্রেট” শব্দগুলির পরিবর্তে “চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট” শব্দগুলি এবং “বিষয়াবলী” শব্দের পরিবর্তে “ফৌজদারী মামলা”
শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে; (খ) উপ-ধারা (১) এর পর নিন্মরূপ নূতন উপ-ধারা (১ক) সনিড়ববেশিত হইবে, যথা –
“(১ক) যেক্ষেত্রে জেলা জজ মনে করেন যে, তফসিলের দ্বিতীয় অংশে বর্ণিত দেওয়ানী মামলা সম্পর্কিত গ্রাম আদালতে বিচারাধীন কোন মামলার পরিস্থিতি এইরূপ যে, জনস্বার্থে ও ন্যায় বিচারের স্বার্থে কোন দেওয়ানী আদালতে উহার বিচার হওয়া উচিত, সেই ক্ষেত্রে, এই আইনে যাহা বলা হইয়াছে তাহা সত্ত্বেও, তিনি গ্রাম আদালত হইতে উক্ত মামলা প্রত্যাহার করিতে এবং বিচার ও নিষ্পত্তির জন্য উহা উপযুক্ত দেওয়ানী আদালতে প্রেরণের নির্দেশ দিতে পারিবেন।”।

১৫। ২০০৬ সনের ১৯নং আইনের তফসিল এর সংশোধন।-উক্ত আইনের তফসিল এর-(ক) প্রম অংশ ফৌজদারী মামলাসমূহ এর- (অ) ক্রমিক নং ৩, ৫, ৬ ও ৭ এ উল্লিখিত “পঁচিশ” শব্দের পরিবর্তে “৭৫ (পঁচাত্তর)” সংখ্যা, বন্ধনী ও শব্দ প্রতিস্থাপিত হইবে; বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৩ ৮২২৩ (আ) ক্রমিক নং ৪ এ উল্লিখিত “পঁচিশ” শব্দের পরিবর্তে “৫০ (পঞ্চাশ)” সংখ্যা, বন্ধনী ও শব্দ প্রতিস্থাপিত হইবে; এবং (ই) ক্রমিক নং ৮ বিলুপ্ত হইবে; (খ) দ্বিতীয় অংশঃ দেওয়ানী মামলাসমূহ এর ক্রমিক নং ১, ২, ৩, ৪, ৫ এবং ৬ এর বিপরীতে উল্লিখিত “পঁচিশ” শব্দের পরিবর্তে “৭৫ (পঁচাত্তর)” সংখ্যা, বন্ধনী ও শব্দ প্রতিস্থাপিত হইবে।